কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি বিস্তারিত জানুন।


প্রিয় পাঠক, কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি বিস্তারিত জানুন। ।এটা নিয়ে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না।আপনার হয়তো কমলার খোসার ফেসপ্যাক কিভাবে তৈরি করতে হয়। সেই সম্পর্কেও জেনে থাকা দরকার, আমি আজকে সেই সম্পর্কে আলোচনা করব।আপনি যদি আমার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়েন আশা করছি বুঝতে পারবেন।
কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি বিস্তারিত জানুন।
আমি চেষ্টা করেছি আপনি কমলা লেবু কিভাবে খাবেন।কোন কোন সময় খেলে আমাদের শরীরের জন্য উপকারে আসবে। এবং কোন সময় খাওয়া যাবে না। আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি যা আপনার অনেক উপকারে আসবে তো চলুন আমরা সেই সকল বিষয়ে আজকে জেনে নিই।

ভূমিকাঃ

কমলালেবুর যেমনি রয়েছে রূপ তেমনি রয়েছে গুণ ভিটামিন সি তে ভরপুর কমলালেবু আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী ফল। আমরা আজকে আলোচনা করেছি কমলালেবু খাওয়ার উপকারিতা, কমলালেবু কখন খাবেন। এর পুষ্টিগুণ এবং কমলালেবুর খোসা দিয়ে কিভাবে ত্বকের যত্ন নিবেন, কমলালেবু তে ৭৫ শতাংশ ভিটামিন সি থাকে।
কমলা লেবু খাবার খাওয়ার এক ঘন্টা, আগে বা পরে খাওয়া উচিত।খুব সকালে এবং রাতে কমলা লেবু, খাওয়া একেবারেই উচিত নয়। ভিটামিন সি-তে ভরপুর কমলা লেবু খাবার খাওয়ার আগে খেলে ক্ষিধে বাড়ায়। এবং পরে খেলে হজম এর সহায়ক হয়।

অতএব আমরা বুঝতে পারলাম, পেট ভরা থাকলে কমলা লেবু খেলে আমাদের শরীরে অনেক উপকারে আসে। আমরা এখন থেকে চেষ্টা করব এই নিয়মে কমলা লেবু খাওয়ার।

কমলার উপকারিতা ও পুষ্টিগুণ কি বিস্তারিত জানুন। 

শীতকাল এলেই যে যে ফলগুলো আমরা বেশি পছন্দ,করি তার মধ্যে কমলালেবু অন্যতম। বিশেষজ্ঞরা মনে করেন, কমলালেবুতে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে সেই সঙ্গে থাকে ভিটামিন সি। ভিটামিন সি ত্বক ভালো রাখতে সাহায্য করে।
সেইসঙ্গে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে, ১০০ গ্রাম কমলালেবু তে ৪৮ গ্রাম ক্যালোরি, প্রায় ৯০ গ্রাম পানি, ১০ গ্রাম প্রোটিন, ১২ গ্রাম কার্বোহাইড্রেট, ৯.৮ গ্রাম সুগার, ২.৩ গ্রাম ফাইবার, এবং ৭৫ শতাংশ, ভিটামিন সি থাকে। সব মিলিয়ে কমলালেবু দারুন একটা স্বাস্থ্যকর ফল, কমলাই থাকা প্রচুর আঁশ বাওয়েল,মুভমেন্ট ভালো রাখে ও ক্ষুধা মিটাই।

কমলার রসে থাকা ভিটামিন ওজন নিয়ন্ত্রণ রাখতে সহায়তা করে। এবং রক্তে থাকা ক্ষতিকর ও প্রদাহ জনক, মৌল থেকে রক্ষা করে থাকে।

কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা কি আপনি জানেন? 

কমলার যেমনি রূপ তেমনি গুণ, শীতকালে ত্বকের ওপর অনেক বেশি প্রভাব পড়ে। কারন এই সময় আবহাওয়ার সঙ্গে ত্বকের অনেক পরিবর্তন আসে, ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়। আমি আজকে আপনাকে জানাবো, কমলার খোসা খাওয়ার উপকারিতা কি আপনি জানেন। এবং কিভাবে এটি ব্যবহার করে উপকৃত হবেন।
আজকের পর থেকে কমলার খোসা আর ফেলে দিবেন না, এগুলোকে বিভিন্ন কাজে ব্যবহার করা যায়। একটি গবেষণায় জানা যায়, খোসায় পলিফেনলের মাত্রা, এত বেশি এর পরিমাণ মূল ফলটির চেয়ে অনেক বেশি, এর মধ্যে যে এসেনশিয়াল ওয়েল আছে তার লাইসোনেন দ্বারা সমৃদ্ধ, এবং এটি চামড়ার ক্যান্সার মোকাবেলায় সহায়তা করে।

এবং ফলটির আসে পরিপাক ক্রিয়া সঠিকভাবে বাড়াতে সাহায্য করে, আবার কমলার খোসায় সাইট্রিক এসিডের উপস্থিতি বেশি হওয়ায় এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়াতে সাহায্য করে। প্রতিদিন মুখে ভালো করে ঘষলে মুখের কালো দাগ বা ব্রণের দাগ দূর হয়।নিয়মিত এভাবে কমলার খোসা ব্যবহার করলে আশা করছি ভালো ফলাফল পাবেন।

কমলার খোসার ব্যবহার গুলো কি কি?

কমলার খোসায় ফেল্ভোনয়েড রয়েছে যা হেসপিডিন নামে পরিচিত। এটি কোলন ক্যান্সার এর বিরুদ্ধে কাজ করে আমাদের রক্ষা করে, চলুন আমরা জেনে নেই, কমলার খোসার ব্যবহার গুলো কি কি?খাবারের সুগন্ধি ফ্লেভার আনতে অরেঞ্জ স্পিল জেস্ট বা কমলার খোসা কুচি করে মেশাতে পারেন।

বিভিন্ন ধরনের সালাদেও মিশিয়ে নেওয়া যায় এ খোসা কুচি। আবার চুলার আশেপাশের তেল চিটচিটে অংশে ভিনেগারের সাথে মিশিয়ে স্প্রে করে মুছে নিন দেখবেন ঝকঝকে হবে রান্নাঘর। আবার কমলার খোসা গুড়ো আমাদের ত্বকের জন্য বেশ উপকারি।

কমলার খোসার ফেসপ্যাক কি ভাবে তৈরি করতে হয়।

কমলার খোসার ফেসপ্যাক কি ভাবে তৈরি করতে হয়। সেটি আমি আজকে বিস্তারিত জানাবো, কমলার খোসা আগে ভালো ভাবে রোদে শুকিয়ে নিতে হবে। এরপর তা গুড়ো করে নিতে হবে, খোসা গুড়োর সঙ্গে কফি পাউডার, এলোভেরা জেল, আর কাঁচা দুধ, মিশিয়ে প্যাক বানিয়ে নিতে হবে। এবার তা গায়ে পিঠে ঘষে ঘষে লাগিয়ে নিন, এতে খুব ভালো ময়লা পরিষ্কার হয়।

আবার কমলালেবুর খোসা গুড়োর সঙ্গে কাঁচা দুধ অথবা টক দইয়ের সাথে পরিমাণ মতো চালের গুড়া খুব ভালো করে মিশিয়ে সারা গায়ে মুখে লাগাতে পারেন ত্বক হবে মসৃণ।

বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা।

কমলা লেবু স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী ফল, এটি খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয়। যা অনেক রোগ প্রতিরোধ করে, কমলা খাওয়া শুধু বড়দের জন্যই নয়, শিশুদের জন্য খুবই উপকারী। প্রায়ই অভিভাবকদের মনে প্রশ্ন থাকে যে আমরা কি ছোট বাচ্চাদের কমলা খাওয়াবো?

আমরা আজকে আপনাকে আপনার প্রশ্নের উত্তর দিয়ে দিচ্ছি বাচ্চাদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা।
কমলালেবুতে রয়েছে অনেক পুষ্টি উপাদান। যা শরীরের জন্য বেশ উপকারী। শিশুদের কমলা খাওয়ালে তাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার হয়। আসুন জেনে নেই শিশুদের কমলা খাওয়ার উপকারিতা-
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

কমলালেবু তে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। কমলা খেলে সর্দি, জ্বর ও অন্যান্য রোগ প্রতিরোধ হয়।আরো যেসব উপকার হয় তাহলো, রক্তশূন্যতা প্রতিরোধ করে, হাড় মজবুত করে, হজমের জন্য ভালো, কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দূর হয়,ইত্যাদি। 
আপনার বাচ্চা যদি ছয় মাস বয়সের কম হয়, তবে ডাক্তারের পরামর্শে তাকে কমলা খাওয়ান।

রাতে কমলা খেলে কি হয়।

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাতে ফল খেলে শরীরের শর্করা এবং শক্তির মাত্রা বেড়ে যাবে। এক্ষেত্রে ঘুমো ব্যাহত হয়। তাই রাতে ফল খাওয়া এড়িয়ে চলা উচিত। তবে যদি সূর্যাস্তের আগে ফল খাওয়া হয়, তাহলে সব রকমের উপাদান শরীরে ভালোভাবে প্রবেশ করে। সকালের নাস্তার ৩০ মিনিট পর কমলালেবু খেলে বেশি উপকার পাওয়া যায়। কমলা লেবুতে,অ্যাসিডের পরিমাণ বেশি। অনেকেরই কমলালেবু খেলে অম্বল হয়। জিভ টক টক হয়ে যায়। রাতে কমলা লেবু খেলে এই সমস্যা গুলো হওয়ার ঝুঁকি কয়েক শতাংশ বেড়ে যায়। সেই সাথে বুক জ্বালা, মাথা ঘোরার মত সমস্যাও হয়। তাই রাতে কমলে লেবু না খাওয়াই ভালো।

লেখক এর মন্তব্য।

সম্মানিত পাঠক কমলালেবুর সম্পর্কে এবং এর খোসা দিয়ে আমাদের কি কি উপকারে আসে এই সম্পর্কিত অনেক তথ্য আপনাদের কাছে তুলে ধরেছি কিভাবে কমলালেবু খাবেন এর পুষ্টিগুণ, ফেসপ্যাক বানানো, ইত্যাদি বিষয়ে তুলে ধরেছি। আশা করি আপনার ভালো লেগেছে।

আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে যদি আপনি উপকৃত হয়ে থাকেন তাহলে আপনার পরিচিতদের মাঝে শেয়ার করুন। আর আপনার ভালো লাগার বিষয়টি কমেন্ট করে জানাতে ভুলবেন না। এরকম আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পেতে আমার এই ওয়েবসাইটটি নিয়মিত ভিজিট করুন।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url