গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব? - গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার।
সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম! আপনি কি গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন - গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার, এই সকল বিষয়ে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য কেননা, আমরা আজকে আপনাকে গ্রাফিক ডিজাইনে কি কি শেখানো হয় এটাও আপনাদেরকে জানিয়ে দিব। তো চলুন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই।
আমার এই আর্টিকেলটিতে, গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার, গ্রাফিক্স ডিজাইন কাকে বলে, গ্রাফিক্স এর কাজ কি, এই ডিজাইনের চাহিদা কেমন। এবং গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ কেমন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে সঠিক ধারণা পারবেন। এইজন্য আপনাকে আজকের আর্টিকেলটি সম্পন্ন মনোযোগ সহ পড়তে হবে।
ভূমিকাঃ
বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা খুবই বেশি। প্রতিনিয়ত গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই ক্যারিয়ার হিসেবে গ্রাফিক্স ডিজাইন নির্ধারণ করাই যায়। প্রথমেই সকলের মনে প্রশ্ন আসে, সেটি হল কিভাবে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখব? ডিজাইন কত প্রকার, গ্রাফিক্স ডিজাইনের ভবিষ্যৎ কেমন ইত্যাদি বিষইয়ে। প্রধানত দুইটি উপায় আছে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার।
প্রথমত, আপনি চাইলে গুগল থেকে বিভিন্ন রিসোর্স সংগ্রহ করে সেগুলো পড়ে পড়ে শিখতে পারবেন। এরপরেই আসে youtube-এ বিভিন্ন ভিডিও পেয়ে যাবেন গ্রাফিক্স ডিজাইন সম্পর্কে। গ্রাফিক্স ডিজাইন হল একটি বহুমুখী শিল্প ফর্ম যা বাণিজ্যিক বিজ্ঞাপন, প্যাকেজিং ডেক্সটপ প্রকাশনা, টাইপোগ্রাফি এবং লেআউট সহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহৃত হয়, যার মধ্যে প্রথমেই বলা যেতে পারে। Adobe Photoshop এবং Illustrator এর মত সফটওয়্যার ব্যবহার করে গ্রাফিক্স তৈরি করা যায়। গ্রাফিক ডিজাইনারদের চাহিদা বৃদ্ধির সাথে সাথে, এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় পেশা হয়ে উঠেছে। গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের শিল্প এবং রঙের পাশাপাশি গ্রাফিক্স ডিজাইন সফটওয়্যারের সাথে প্রযুক্তিগত দক্ষতার প্রতি নজর থাকা উচিত।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখব? - গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকারঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন হচ্ছে অনলাইন জগতের এক বিশাল সম্ভাবনাময় ভান্ডার। প্রতিনিয়তই মানুষের প্রয়োজন অনুভব করছে। এটি হচ্ছে এমন একটি সেক্টর যেখানে আপনার সৃজনশীলতা প্রকাশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। কিন্তু কথা হচ্ছে আপনি গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন- গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার, এই সকল বিষয়ে আপনাকে আগে ভালোভাবে জানতে হবে।
তবে এর জন্য অবশ্যই অবশ্যই কঠোর পরিশ্রম এবং সাধনা করতে হবে। কষ্ট ছাড়া কেষ্ট মেলে না, কথাটা অনলাইন এবং অফলাইন দুটোর জন্যই প্রযোজ্য। তো চলুন গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখবেন জেনে নিই, গ্রাফিক ডিজাইন শেখার অনেকগুলো উপায় রয়েছে। প্রধানত দুইটি উপায় হলো-
- বিনামূল্যে/নিজের প্রচেষ্টায়।
- পেইড কোর্স করার মাধ্যমে।
বিনামূল্যে/ নিজের প্রচেষ্টাইঃ
ইউটিউবে এই সম্পর্কিত অনেক ভিডিও রয়েছে। এই ভিডিও গুলো দেখার মাধ্যমে এবং অনুশীলন করার মাধ্যমে আপনি চাইলে এক্সপার্ট হতে পারেন। এছাড়াও গুগল থেকে বিভিন্ন রিসোর্স সংগ্রহ করে সেগুলো পড়তে পারেন, এবং অনুশীলনের মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর দক্ষতা অর্জন করতে পারেন। কিন্তু বিনামূল্যে গ্রাফিক ডিজাইন শেখার ক্ষেত্রে আপনাকে অনেক রিসার্চ করতে হবে।
পেইড কোর্স করার মাধ্যমেঃ
বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান রয়েছে যারা অনলাইনে এবং অফলাইনে গ্রাফিক ডিজাইনের উপর কোর্স করিয়ে থাকে। এছাড়া অনেক ওয়েবসাইট রয়েছে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর উপর কোর্স বিক্রি করে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে, Ordinary It, 10 minite school, Skillshare, ও Coursear । আপনি চাইলে এদের কোর্সগুলো এনরোল করার মাধ্যমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারেন। পেইড কোর্স করার সুবিধা হল, ক্লায়েন্টের কাজ করার সময় কোন সমস্যাই পড়লে অভিজ্ঞদের কাছ থেকে লাইভ সাপোর্ট পাবেন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার।
গ্রাফিক ডিজাইনের শেকড় অনেক প্রাচীন হলেও ব্রিটেইন এ উনিশ শতকের শেষের দিকে ফাইন আর্ট থেকে আলাদা হয়ে গ্রাফিক্স ডিজাইন স্বতন্ত্রভাবে আত্মপ্রকাশ করে। এরপর প্রিন্ট মিডিয়ার হাত ধরে আক্ষরিক ভাবে গ্রাফিক ডিজাইন এর পথ চলা শুরু, আমেরিকান বই ডিজাইনার উইলিয়াম এডিসন এর হাত ধরে 1922 সালের গোড়ার দিকে। গ্রাফিক্স ডিজাইন সাধারণত দুই প্রকার- প্রিন্ট মিডিয়া ও ওয়েব মিডিয়া।
প্রিন্ট মিডিয়াঃ
এইসব গ্রাফিক ডিজাইনগুলো করা হয় তাকে প্রিন্ট মিডিয়া বলে। যেমনঃ ব্যানার, বিজনেস কার্ড, বুক কভার, ফুড মেনু , পোস্টার কার্ড, ম্যাগাজিন, টি শার্ট, ডিজাইন ইত্যাদি।
ওয়েব মিডিয়াঃ
যে সব ডিজাইন প্রিন্ট করার দরকার হয় না তাকে ওয়েব মিডিয়া বলে। এইসব ডিজাইনগুলো ওয়েবসাইটের কাজে ব্যবহার করা হয়। যেমনঃ ওয়েব ট্রামপ্লেট, ওয়েব কভার ফটো, ফেসবুক কভার ফটো, প্রোফাইল ফটো ইত্যাদ।
গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয়ঃ
গ্রাফিক ডিজাইন হচ্ছে কোন একটি ম্যাসেজ বা তথ্যকে সৃজনশীলতা দিয়ে রং, রেখা ও বিভিন্ন সেপের মাধ্যমে মানুষের সামনে তুলে ধরা। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এখন এই তথ্য বা ম্যাসেজগুলো হয় মার্কেটিং সম্পর্কিত। মার্কেটিং বাদেও বিভিন্ন সেক্টর রয়েছে গ্রাফিক ডিজাইনের আওতায়। তার মধ্যে গার্মেন্টস সেক্টর অন্যতম। গ্রাফিক্স ডিজাইনের অনেকগুলো সেক্টর রয়েছে।
এছাড়াও গ্রাফিক্স ডিজাইনে কি কি শেখানো হয়। যেমনঃ UI, UX, visual, interction, motoin, print desing, packaging desing, art&illustration. ইত্যাদি। এগুলো নিয়ে আপনাকে অনেক গবেষণা করতে হবে। এর ভিতর থেকে আপনার যে সেক্টর ভালো লাগবে সেটা দিয়েই আপনি শুরু করতে পারেন। আপনার গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়ার স্বপ্ন পূরণের যাত্রা।
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইটঃ
গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট থেকে আমরা সহজেই হাতে কলমে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবো যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন নতুন শিখছেন, তাদের মধ্যে একটি কমন সমস্যা থাকে এটি হচ্ছে গ্রাফিক ডিজাইন কিভাবে শিখব। আজকের এই পোস্টে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট শেয়ার করবো। আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন করে ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার গড়তে চান।
তবে এই পোস্টটি সম্পূর্ণ মনযোগ সপড়ুন, গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার সময় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হচ্ছে রিসোর্স। অর্থাৎ রিসোর্স বা সাপোর্ট ছাড়া আমরা সহজেই ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারবো না। কিন্তু ঘরে বসে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা যাবে না বিষয়টা এমন না, আমরা চাইলে অনলাইনে বিভিন্ন কোর্স করে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে পারি।
আবার ইউটিউব দেখেও গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা সম্ভব। কিন্তু অনেক সময় দেখা যায় ফ্রী রিসোর্স গুলোতে সম্পন্ন তথ্য থাকে না। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইট থেকে সহজেই গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখা শুরু করে দিতে পারেন।
তো চলুন এমন কিছু ওয়েবসাইট নিয়ে আলোচনা করা যাক। আপনি যদি বিগেনার লেভেলে থাকেন, এসব ওয়েবসাইট ব্যবহার করে গ্রাফিক্স ডিজাইন নিয়ে আপনার স্কিল অনেক বেশি ইমপ্রুভ করে ফেলতে পারবেন। তো চলুন ওয়েবসাইট গুলো দেখে নেওয়া যাক।
- Tutsplus.com
- Graphicdesignertips.com
- Smashingmagazine.com
- Loondesing.com
- Abduzeedo.com
গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহৃত রং গুলো কি কি:
আমরা যারা গ্রাফিক ডিজাইনের কাজ করি এছাড়া কালার রিলেটেড কোন কাজ করি, তাদের অবশ্যই কালারের উপর সঠিক দক্ষতা থাকা প্রয়োজন। এটা বলার কারণ হলো স্বভাবতই আমরা কিছু তৈরি করলে সেটা যাতে দেখতে আকর্ষণীয় হয় সেটা খেয়াল রাখা জরুরী। কেননা মানুষ সুন্দরের পূজারী। আর মানুষ সেটা তখনই গ্রহণ করবে যখন সেটা দেখতে সুন্দর হবে।
ইংরেজিতে যাকে বলা যায় "Sophisticated"। এই পৃথিবী জুড়ে প্রায় দশ মিলিয়ন কালারের এক্সিস্ট্যান্স আছে। বিজ্ঞানীরা নিশ্চিত করেছেন, যে ল্যাবে আমরা প্রায় এক হাজার স্তর Dark-light এবং প্রায় ১০০ টি স্তর প্রতিটি Red-green এবং Yellow-blue দেখতে পাচ্ছি সুতরাং প্রায় ১০ মিলিয়ন রং। তো চলুন গ্রাফিক্স ডিজাইন ব্যবহৃত রং গুলো কি কি,আমরা জানি মৌলিক রং যথাক্রমে তিনটি আর এগুলো হলো।
লাল, নীল, ও হলুদ। এই লাল নীল ও হলুদ কালারের আলাদা কোন কালারের সমন্বয়ে তৈরি নয় বরং এগুলোর সাথে মিলিয়ে অন্য সব কালার তৈরি করা হয়। এগুলো প্রাইমারি কালার নামে পরিচিত।
কমলা,মেজেন্টা ও সবুজ। এই ৩টি কালার হলো সেকেন্ডারি কালার যারা প্রাইমারী কালারের মিক্সড কেস। আর বাদ বাকি যা আছে সব ই টার্সিয়ারি লেভেল এ পরে।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব:
কম্পিউটার গ্রাফিক্স এর মাধ্যমে নিজের ইচ্ছাকৃত ডিজাইন, নতুনত্ব আনয়ন, অক্ষরের সুসন্নিবেশিত রূপ প্রদান করা সম্ভব। গ্রাফিক ডিজাইন এর মাধ্যমে ব্যক্তি তার ইচ্ছা অনুযায়ী পোস্টার, ফ্লাইয়ার, ব্রাউচার, ওয়েবসাইট, বিজনেস কার্ড, লোগো, টি-শার্ট, বইয়ের প্রচ্ছদ, ইত্যাদির নকশা ডিজাইন করতে পারবে। তো চলুন গ্রাফিক্স ডিজাইনের এর গুরুত্ব সম্পর্কে জেনে নিই।
গ্রাফিক ডিজাইন এর গুরুত্ব অপরিসীম। কেননা গ্রাফিক্স ডিজাইন এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছবি তৈরি করা, বা পরিবর্তন করা, পরিবর্ধন করা, সংযোজন করা, ছবির উপরে বিভিন্ন লেখা বসানো, ছবি ছোট বা বড় করা, ছবির অপ্রয়োজনীয় অংশ কেটে ফেলা, কয়েকটি ছবিকে একত্রিত করে একটি ছবিতে রূপান্তর করা ইত্যাদি যাবতীয় কাজ করা যায়।
এছাড়াও নিজের আইডিয়া থেকে ছবিকে পরিবর্তন ও পরিবর্ধন করা সম্ভব। সুতরাং, সঠিক সিদ্ধান্তের সাথে শুরু করুন এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনে আপনার ভবিষ্যৎ গড়ুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎঃ
সাধারণত বর্তমান যুগে গ্রাফিক্স ডিজাইনারদের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে বিপুল চাহিদা রয়েছে। আপনি চাইলে গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখে খুব সহজেই ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসে কাজ নিতে পারেন এবং হাজার হাজার ডলার আয় করতে পারেন। এর জন্য দরকার কঠোর পরিশ্রম এবং অধ্যবসায়।
আর আপনি যদি গ্রাফিক্স ডিজাইন টা ঠিকমতো শিখতে পারেন তাহলে আপনার কাজের অভাব হবেনা অনলাইনে যে কোন ফ্রিল্যান্সিং সাইটে আপনি প্রচুর কাজ পেয়ে যাবেন। আর আজকে আমি আপনাদের সাথে গ্রাফি ডিজাইনের ভবিষ্যৎ সম্পর্কে আলোচনা করব। ফ্রিল্যান্সিং করে আপনি যে পরিমাণ আয় করতে পারবেন তা আপনার কল্পনার বাহিরে।
এছাড়াও আপনি যদি বিভিন্ন কোম্পানির দিকে লক্ষ্য করলেই দেখতে পাবেন- যেমনঃ আমাদের দেশের দারাজ, ইভ্যালি, আজকের ডিল, ইত্যাদি। এ ধরনের প্রতিষ্ঠানগুলোতেও কিন্তু প্রচুর গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ রয়েছে। আপনি তাদের সাইট বা পেজ দেখলেও বুঝতে পারবেন। আপনি যদি একটু আপনার আশেপাশের দোকান পিঠে লক্ষ্য করে দেখেন সেখানেও কিন্তু গ্রাফিক্সের কাজ রয়েছে।
দোকানের লোগো হতে শুরু করে ব্যানার, বিজনেস কার্ড, প্রোডাক্টের প্যাকেজ, ইত্যাদি সবকিছুতেই গ্রাফিক্সের ব্যবহার রয়েছে। এছাড়া দেশের বাহিরে তো চাহিদা আরো ব্যাপক। এবং দিন দিন এই চাহিদা আরো বৃদ্ধি পাবে, নতুন নতুন বিজনেস যত আসবে গ্রাফিক্সের চাহিদা তত বাড়বে।
কথায় আছে প্রচারেই প্রসার। তো বন্ধুরা আশা করি আপনাকে আমি বুঝাতে সক্ষম। তবে যাই করেন একটি বিষয় মাথায় রাখবেন কখনো শর্টকাট কিছু করতে যাবেন না। আগে বুঝুন, শিখুন, তারপরে মার্কেটপ্লেস এ নামুন।
গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা কেমনঃ
গ্রাফিক ডিজাইনের চাহিদা বেশ ভালো। ভবিষ্যতেও অনেকটা বৃদ্ধি পাবে, কারণ এটি বিভিন্ন ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। বর্তমানে যারা গ্রাফিক্স ডিজাইন এ কাজ করছে তাদের এভারেস্ট মান্থলি ইনকাম হয়ে থাকে কমপক্ষে ৩০,০০০ থেকে শুরু করে কয়েক লক্ষ টাকা পর্যন্ত। তবে সফলতা নির্ভর করে সেক্টরের উপর নয় আপনার দক্ষতার উপর।
উদাহরণ হিসেবে কোন কোম্পানি যদি কোম্পানির প্রচার করতে চায় তাহলে কোম্পানির পোস্টার বানাতে হবে। এবং এই পোস্টারটি অফলাইন, অনলাইন দুটো জায়গাতেই প্রচার করা সম্ভব। এইসব কারণে গ্রাফিক্স ডিজাইন এর চাকরি বর্তমান মার্কেটে সহজেই পাওয়া যেতে পারে যদি আপনার মধ্যে সঠিক দক্ষতা থাকে।
বর্তমানে আপনি ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম, টুইটার কিংবা অন্যান্য সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্মে যদি কোন অ্যাডভার্টাইজমেন্ট দেখতে পান প্রায় সবই গ্রাফি ডিজাইনের দ্বারা তৈরি। এছাড়াও আপনি নিজে দক্ষ হয়ে যদি গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করাতে পারেন।
তাহলে মাসে অন্তত এক লক্ষ টাকারও বেশি উপার্জন করতে পারবেন। বর্তমান সময়ে বিভিন্ন ধরনের কোম্পানি আছে। যেগুলোতে গ্রাফিক্স ডিজাইনার প্রয়োজন পড়ে। তেমন কিছু কোম্পানির নাম আমরা এখানে দেখাবো যেমনঃ
- Marketing Company
- Advertising Company
- Game Development Company
- Application Development Company
- National Company
- Multinateional Company
বিশ্বে এখন গ্রাফিক ডিজাইনের যে পরিমাণ চাহিদা আছে। তার তুলনায় অনেক কম লোক গ্রাফিক্স ডিজাইনের কোর্স করে নিজের ক্যারিয়ার তৈরি করার কথা চিন্তা করে।
গ্রাফিক ডিজাইন শিখতে কি, কি? সফটওয়্যারের দরকার হয়।
বর্তমানে জনপ্রিয় এবং টপ রেটেড একটি ফ্রিল্যান্সিং ফিল্ড হলো গ্রাফিক্স ডিজাইন। মানুষ তার পন্যকে প্রচারের জন্য নানা ধরনের সুন্দর সুন্দর ব্যানার, ফ্লেয়ার তৈরি করছে। পূর্বে ম্যানুয়ালি নানা ধরনের গ্রাফিক্সের কাজ করা হতো। কিন্তু বর্তমানে কম্পিউটারের মাধ্যমে নানা ধরনের ডিজাইন করা হয়।
এই গ্রাফিক্স ডিজাইন এর কাজ শিখে লেগে যেতে পারেন এই সেক্টরে। সফলতা আপনার আসবেই এই নিশ্চয়তা আপনাকে দেয়া যায়। আর মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজেরও কোন কমতি নেই। তবে মূল কাজটা হলো-কাজটির সাথে লেগে থাকা। গ্রাফিক্স ডিজাইন করার জন্য প্রয়োজন হয় নানা ধরনের সফটওয়্যার। আসুন আমরা জেনে নেই, গ্রাফিক্স ডিজাইন শিখতে কি কি সফটওয়্যারের দরকার হয়।
সাধারণত যেসব গ্রাফিক্স সফটওয়্যারের দক্ষতা দরকার হয়ে থাকে সেগুলোর মধ্যে রয়েছে।
- Adobe Photoshop.
- Adobe Illustrator.
- Adobe Indesing.
- Adobe PageMeker.
- Adobe After Effect.
- Adobe Premiere Pro.
- Autodesk Maya.
- GIMP.
- Inkspace.
- CorelDRAW.
- QuarkXPress.
লেখক এর মন্তব্যঃ
আমার আর্টিকেলটিতে আমি চেষ্টা করেছি গ্রাফিক্স ডিজাইন কিভাবে শিখবেন, গ্রাফিক্স ডিজাইন কত প্রকার। গ্রাফিক্স ডিজাইন শেখার ওয়েবসাইটের নাম, গ্রাফিক্স ডিজাইনে ব্যবহৃত রং গুলো কি কি। গ্রাফিক্স ডিজাইন এর গুরুত্ব, গ্রাফিক্স ডিজাইন এর ভবিষ্যৎ, এবং গ্রাফিক্স ডিজাইনের চাহিদা কেমন। এছাড়া আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি।
প্রিয় বন্ধুরা, আমার লিখাটি যদি আপনার ভালো লেগে থাকে, বা আপনার উপকারে এসে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন, যাতে করে তারাও উপকৃত হতে পারে। আর পরিশেষে, রাত্রি গ্রুপের সাথে থাকার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। (আল্লাহ হাফেজ)-
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url