মার্কেন্টাইল ব্যাংকে একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিন।
প্রিয় পাঠক, মার্কেন্টাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম, সম্পর্কে আপনি হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। কিন্তু সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না, আমরা আজকে আপনাকে জানাবো।মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মালিক কে। ব্যাংকের সকল সুযোগ সুবিধা নিয়ে আজকে আলোচনা করব, আমি আশা করি আপনি যদি মনোযোগ দিয়ে আমার আর্টিকেলটি পড়েন তাহলে বুঝতে পারবেন।
এ নিচের আর্টিকেলটিতে আমরা চেষ্টা করেছি, মার্কেন্টাইল ব্যাংকের সকল তথ্য গুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরেছি, এছাড়া আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি। যা আপনার অনেক উপকারে আসবে। তো চলুন আমরা আজকে সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নিই।
ভূমিকাঃ
মার্কেন্টাইল ব্যাংক বেসরকারি ব্যাংকগুলোর মধ্যে অন্যতম। এই ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, মোঃ আব্দুল জলিল স্যার। এই ব্যাংকটি বাংলাদেশের একটি সেবামূলক প্রতিষ্ঠান, মার্কেন্টাইল ব্যাংক দক্ষতাই আমাদের শক্তি। এই স্লোগানে তাঁরা তাদের দক্ষ কর্মী, তৈরি করে ব্যাংকটি পরিচালনা করে আসছে। এখন প্রতিটা মানুষেরই ব্যাংক একাউন্ট, থাকাটা এখন একরকম অপরিহার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে।
ব্যাংক চলে মূলত আমানতকারীদের টাকায়। ব্যাংকে বিনিয়োগ করা প্রায় ৯০ শতাংশ, টাকায় তাদের কিন্তু বাংলাদেশের নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষই থাকেন ব্যাংকের মালিকের ভূমিকায়। আমরা আজকে জানবো, মার্কেনটাইল ব্যাংকে কত ধরনের একাউন্ট খোলা যায়। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আকরাম হোসেন (হুমায়ুন) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।
তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ব্যাংক উদ্যোক্তা পরিচালক। আগামী এক বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের নেতৃত্ব দিবেন তিনি।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়মঃ
ব্যাংক একাউন্ট থাকাটা এখন একরকম অপরিহার্য ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। নিত্যদিনের অজস্র প্রয়োজনীয় কাজকর্ম ব্যাংকের মাধ্যমে করতে হয়। আপনার টাকা নিরাপদ আবাসস্থল হতে পারে ব্যাংক। এছাড়া বিভিন্ন রকম টাকা পয়সার লেনদেন করতে হয় ব্যাংকের মাধ্যমে, তাই ব্যাংক একাউন্ট না থাকার মানেই হচ্ছে, আপনি অন্যদের চেয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে আছেন।
কাজেই দ্রুত একটি ব্যাংক একাউন্ট খুলে নেওয়া আসলে জরুরি আপনার জন্য। তো চলুন মার্কেন্টাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম সম্পর্কে জেনে নিই। এটা আমাদের সবারই জানা থাকা প্রয়োজন।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলার সাধারণত দুই রকমের ফরম পাওয়া যায়ঃ-
- ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম।
- প্রাতিষ্ঠানিক/ অব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্ম।
ব্যক্তিগত একাউন্ট ফর্মঃ
নাম দেখে বোঝা যাচ্ছে এটি মূলত ব্যক্তিগত কাজে ব্যবহৃত হবে এমন একটা একাউন্ট। যে একাউন্টের শিরোনাম অর্থাৎ টাইটেল অব একাউন্ট কোন ব্যক্তির নামে হয়। সেগুলো ব্যক্তিগত একাউন্ট হিসেবে বিবেচিত। এ ধরনের ফর্মের এর মাধ্যমে এক বা একাধিক ব্যক্তির নামে একাউন্ট খোলা যাবে।
প্রাতিষ্ঠানিক একাউন্ট ফর্মঃ
এই ধরনের ফর্মে ব্যাংক একাউন্টের শিরোনাম বা টাইটেল অফ একাউন্ট কোন প্রতিষ্ঠান নামে হয়। এই অ্যাকাউন্টগুলো অব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট হিসেবে গণ্য হবে।
এমবিএল ব্যাংকে একাউন্ট খোলার জন্য প্রয়োজনীয় যে সকল কাগজপত্র লাগেঃ
- হিসাব খোলার আবেদন পত্র যা আবেদনকারীকে পুরনো স্বাক্ষর করতে হবে।
- পিপিও কে ওয়াই সি ফরম পূরণ করতে হবে।
- বৈধ পাসপোর্ট/নিয়োগকর্তার সার্টিফিকেট/আইডি কার্ড/ভোটার আইডি কার্ড এর ফটোকপি।
- একাউন্ট হোল্ডারের সাম্প্রতিক তোলা পাসপোর্ট সাইজের দুই কপি ছবি।
- অ্যাকাউন্ট হোল্ডার কর্তৃক মনোনীত ব্যক্তির পাসপোর্ট সাইজের এক কপি ছবি।
- নির্দিষ্ট পরিমাণ টাকা জমা দিতে হবে।
- এছাড়া ব্যাংকের চাহিদা অনুযায়ী কাগজপত্র জমা দিতে হবে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মালিক কে?
ব্যাংক চলে মূলত আমানতকারীদের টাকায়। ব্যাংকে বিনিয়োগ করা ৯০ শতাংশ টাকায় তাদের। ব্যাংক মালিক নন তারা। অথচ দশ শতাংশ টাকা বিনিয়োগ করে পরিচালকরাই ব্যাংক মালিক। শুধু তাই নয়,, সেইসব পরিচালকদের নির্দেশে চলছে ব্যাংক খাত। ব্যাংকে পরিচালনা পরিষদ ব্যাংকে নিয়ন্ত্রণ করে। বাংলাদেশে নিয়ন্ত্রণকারী কর্তৃপক্ষই থাকেন ব্যাংকের মালিকের ভূমিকায়।
জেনে নেওয়া যাক মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মালিক কে, এস এ গ্রুপ-শাহাবুদ্দিন আলম, এজি গ্রুপ সহ ১০ জন উদ্যোক্তা। ১৯৯৯ সালের ২ জুন দেশের তৃতীয় প্রজন্মের বেসরকারি ব্যাংক হিসেবে মার্কেন্টাইল ব্যাংকের যাত্রা। সাফল্য ও গৌরবের সঙ্গে ব্যাংকটি ২৪ বছর পার করেছে। বাংলাদেশের হাতে গোনা যে কয়টি ব্যাংকের আন্তর্জাতিক ক্রেডিট রেটিং প্রতিষ্ঠান মুডি'সের রেটিং আছে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক তার একটি। ব্যাংকে আদর্শ ব্যাংক বলার জন্য যে কয়টি বৈশিষ্ট্য থাকা দরকার, মার্কেনটাইলে তার সবকটি রয়েছে। সুষম আয়, মজবুত তারল্য ও ঝুঁকি মোকাবেলার সক্ষমতার দিক থেকে আমাদের অবস্থান সুদৃঢ়। এক্ষেত্রে ব্যাংকের সম্মানিত গ্রাহকদের আস্থা ও বিশ্বাস গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রখেছে।
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লোনঃ
মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড তাদের ক্লায়েন্টদের জন্য বিভিন্ন ধরনের লোন বা ঋণ সুবিধা দিয়ে থাকে। যেমন-ব্যক্তিগত লোন, হোম লোন, কার লোন, কৃষি লোন, শিক্ষা লোন, ইত্যাদি নিম্নে মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেড এর লোন বা ঋণ সুবিধা সমূহ তুলে ধরা হলো-
ব্যক্তিগত লোনঃ-
ব্যক্তিগত ঋণ হলো এক ধরনের অসুরক্ষিত ঋণ, আপনার ব্যক্তিগত আয় ও অতীতের ঋণ নেওয়ার তথ্যের উপর ভিত্তি করেই ব্যাংক এই ঋণ অনুমোদন করে। একে কনজিউমার লোন বা গ্রাহক ঋণ ও বলা হয়ে থাকে। যা বিভিন্ন কারণে ব্যক্তিগত প্রয়োজন মেটাতে কেউ নিয়ে থাকে। কিন্তু অন্যান্য ঋণের তুলনায় পার্সোনাল লোন, এর সুদের হার একটু বেশি হয়ে থাকে।
এমবিএল, ব্যাংক গড়ে প্রায় ১১ শতাংশ থেকে 16 শতাংশ পর্যন্ত সুদ ঋণ দিয়ে থাকে। তাই দেখা যায় সরকারি চাকরিজীবী বা বিভিন্ন নাম করা বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মরত ব্যক্তিরা, অনেক সহজেই পার্সোনাল লোন পেয়ে থাকেন।
হোম লোনঃ
সাধ থাকলেও পর্যাপ্ত সামর্থ্য থাকে না বলে। ফ্ল্যাট দেওয়ার সময় অনেকেই লোন নিয়ে থাকেন, কিন্তু কিছু নিয়ম নীতি মেনে ঋণ প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানে আবেদন করতে হয়। প্রতিষ্ঠানগুলো যাচাই-বাছাই করে আপনাকে যোগ্য মনে হলে তাহলে ঋণ পাবেন। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা হাসনাত রাব্বি। জানাই ঋণ পেতে হলে ঋণগ্রহীতার বয়স ২৫ থেকে ৬৫ বছর হতে হবে।
আর চাকরিজীবীদের মাসিক আয় হতে হবে সর্বনিম্ন, ৪৫ থেকে ৫০ হাজার টাকা। এছাড়া লাগবে জমির মালিক ও ডেভেলপারের মধ্যে সম্পাদিত চুক্তিপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি, ও অনুমোদন এর নকশা, ফ্লাট কেনার রেজিস্ট্রি করা বায়না চুক্তিপত্রের মূল কপি, এবং বরাদ্দপত্র লাগবে।
বাড়ির নির্মাণের জন্য প্রথমে দরকার যথাযথ কর্তৃপক্ষ কর্তিক অনুমোদিত নকশার সত্যায়িত ফটোকপি, মূল দলিল, নামজারি খতিয়ান, খাজনা রশিদের সত্যায়িত ফটোকপি, ইত্যাদির প্রয়োজন হবে আরো লাগবে সিএস,এসএ, আরএস, বিএস খতিয়ানের সত্যায়িত কপি।
প্রিয় গ্রাহক, আপনারা নিকটস্থ মার্কেন্টাইল ব্যাংক এ গিয়ে ব্যাংক ম্যানেজারের সাথে বিস্তারিতভাবে কথা বলুন। এবং সকল বিষয়ে ক্লিয়ার ধারণা নিয়ে লোন গ্রহণ করুন।
মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যানঃ
দেশের প্রথম সারির বেসরকারি ব্যাংক মার্কেন্টাইল ব্যাংক লিমিটেডের। নতুন পরিচালনা পরিষদ গঠিত হয়েছে, আমরা আজকে আপনাকে জানাবো মার্কেন্টাইল ব্যাংকের চেয়ারম্যান কে? সম্প্রতি মার্কেন্টাইল ব্যাংকের পরিচালনা পরিষদের ৪২৬তম সভায়।
এ, এস, এম-ফিরোজ আলম পুনরায় ভাইস চেয়ারম্যান, এবং আলহাজ্ব আকরাম হোসেন (হুমায়ুন) নির্বাহী কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি দেশের প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী ও ব্যাংক উদ্যোক্তা পরিচালক। আগামী এক বছরের জন্য ব্যাংকটির পরিচালনা পরিষদের নেতৃত্ব দিবেন তিনি।
আলহাজ্ব আকরাম হোসেন ১৯৫২ সালের ১ জুলাই ফেনির দাগনভূঞার, সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের অংশগ্রহণকারী এই ব্যবসায়ী একজন বাণিজ্য স্নাতক। ফারস গ্রুপ অফ কোম্পানির চেয়ারম্যান এবং ফারস হোল্ডিং এন্ড এসোসিয়েট লিমিটেড, ফারস হোটেল এন্ড রিসোর্ট, আকরাম ট্রেডার্স।
পূবালী পেপার স্টোরস, ইন্ডিগো প্যাকিং এন্ড একসেসরিজের চেয়ারম্যান এন্ড ম্যানেজিং ডাইরেক্টর। এছাড়াও নোয়াখালী পেপার ব্যবসায়ী সমিতির প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি, অল কমিউনিটি ক্লাব, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা সদস্য।
লেখকের মন্তব্যঃ
আমার এই আর্টিকেলটিতে আমি চেষ্টা করেছি, আপনাদেরকে মার্কেন্টাইল ব্যাংক একাউন্ট খোলার নিয়ম। অ্যাকাউন্ট খোলার সাধারণত কত ধরনের ফরম পাওয়া যায়। মার্কেন্টাইল ব্যাংকের মালিক কে, মার্কেন্টাইল ব্যাংক লোন, হোম লোন, মার্কেন্টাইল এর চেয়ারম্যান, ইত্যাদি। বিষয়ে আপনাদের সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি আশা করছি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে।
আমার লিখাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে, তাহলে অবশ্যই একটি মন্তব্য করুন। আর অবশ্যই আপনার পরিচিত বন্ধু বান্ধবের সাথে শেয়ার করুন। যাতে করে তারাও পড়ে উপকৃত হতে পারে। (ধন্যবাদ) রাত্রি গ্রুপ, এর সাথে থাকার জন্য আশা করি সব সময় আপনারা পাশে থাকবেন।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url