মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন বিস্তারিত জানুন।
সম্মানিত পাঠক, মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন, এটা নিয়ে আপনি গুগলে হয়তো অনেক খোঁজাখুঁজি করেছেন। সঠিক তথ্য খুঁজে পাচ্ছেন না, এছাড়াও বিশ্বের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম কি। এটা নিয়েও আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করব, তো চলুন সেই সকল বিষয়ে আমরা বিস্তারিত জেনে নেই।
এছাড়াও আমার আর্টিকেলটিতে, আমরা আরও চেষ্টা করেছি। আইফোন কে আবিষ্কার করেন, স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন, কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে ভালো এবং আইফোন ব্যবহারের নিয়ম, সম্পর্কেও আলোচনা করেছি। তো চলুন আমরা আজকে সেই সকল বিষয়ে বিস্তারিত জেনে নেই।
মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন বিস্তারিত জানুন।
আগে কখনো কি ভেবে দেখেছিলেন মোবাইলের মত ছোট্ট একটি যন্ত্র আপনার দৈনন্দিন জীবনে সঙ্গী হয়ে উঠবে? আবার কখনো কি প্রশ্ন জেগেছে মনে মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন। বর্তমান তথ্য প্রযুক্তির দুনিয়ায় এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। যার কাছে অন্তত একটি মোবাইল ফোন নেই। অতীতে কোন ইলেকট্রনিক পণ্যের মোবাইল ফোনের মত এত বিস্তার ঘটেনি।
মোবাইল ফোন এখন আর কোন বিলাসিতা নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে নিত্য প্রয়োজনীয় ও আধুনিক জীবনে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ জিনিস হয়ে উঠেছে। প্রায় পাঁচ দশক আগের মোবাইল ফোনের তুলনাই আজকের একেকটি স্মার্ট ফোন যেন সুপার কম্পিউটার।
তো আপনারা কি এই মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেছে সেই ইতিহাস জানেন। যারা জানেন না, তাদের জন্যই আমাদের আজকের পোস্ট। চলুন বিস্তারিত পড়ে দেখি; মনোযোগ সহকারে। আশা করি আপনি উপকৃত হবেন;।
মোটোরোলা কোম্পানিতে কর্মরত, ডক্টরঃ মাটিন কুপার এবং জন ফ্রান্সিস মিসেলকে প্রথম মোবাইল ফোনের উদ্ভাবকের মর্যাদা দেয়া হয়ে থাকে। তারা ১৯৭৩ সালের ৩রা এপ্রিলে প্রথম সফল ভাবে একটি প্রায় দুই কেজি, (৪,৪ পাউন্ড) ওজনের হাতে ধরা ফোনের মাধ্যমে কল করতে সক্ষম হন। পৃথিবীর ইতিহাসের প্রথম ফোন দিয়ে প্রথম কলটিও করেছিলেন মার্টিন কুপার।
তিনি নিউইয়র্কের ষষ্ঠ এভিনিউতে হাঁটতে হাঁটতে (এ,টি অ্যান্ড টি) কোম্পানিতে কর্মরত এক ইঞ্জিনিয়ার বন্ধুকে কলটি করেছিলেন। মার্টিন কুপার এর নাম দিয়েছিলেন ডায়নামিক অ টোটাল এরিয়া কভারেজ
বিশ্বের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম কি?
প্রথম মোবাইল ফোন তৈরি হয়েছিল ১৯৭৩ সালে আমেরিকা নিউইয়র্ক শহরে আর তা তৈরি করেছিলেন ইঞ্জিনিয়ার মার্টিন কুপার। আর সে কারণে তাকে বলা হয় মোবাইল ফোনের জনক। আর, বিশ্বের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম হলো মোটোরোলা কোম্পানি।
তিনি নিউইয়র্ক সিটির একটি রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে একটি মোটোরোলা ডিজিটাল সেল ফোন থেকে একটি এটিএন্ডটির একজন পোকৌশলীকে ফোন করেন। এই ছিল বিশ্বের প্রথম কথোপকথন যা একটি মোবাইল ফোন থেকে করা হয়েছিল। মার্টিন কুপারের আবিষ্কারের আগে মোবাইল ফোনগুলি খুব বড় এবং ভারী ছিল। সেগুলিকে গাড়ির মধ্যে রাখা হতো এবং ব্যবহারের জন্য একটি এন্টেনা লাগানো হতো।
কুপারের আবিষ্কার মোবাইল ফোন গুলিকে আরো ছোট, হালকা এবং গ্রহণযোগ্য করে তুলেছিল। এটি মোবাইল ফোন গুলিকে জনসাধারণের জন্য আরও বেশি এক্সেসযোগ্য করে তুলে এবং আজকের বিশ্বে মোবাইল ফোনগুলির বিস্তার কে সক্ষম করে।
মার্টিন কুপারের আবিষ্কারের জন্য তাকে অনেক পুরস্কার দেওয়া হয়েছে। তিনি ১৯৯৯ সালে জাতীয় উদ্ভাবন পুরস্কার এবং ২০০৭ সালে প্রিন্সটন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মান সূচক ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন।
আইফোন কে আবিষ্কার করেন।
বর্তমান যুগের আইফোনের নাম শুনেনি এমন মানুষের সংখ্যা খুবই কম আছে। বর্তমান দিনে একটি আইফোন মোবাইল হাতে থাকা মানে বিরাট ব্যাপার। কিন্তু আইফোন কে আবিষ্কার করেন এই সম্পর্কে হয়তো অনেক ব্যক্তি জানেন না। চলুন আমরা আজকের আর্টিকেল থেকে আইফোন সম্পর্কে বিভিন্ন তথ্য জেনে নিই। স্টিভ জবস নামক একজন ব্যক্তি iphone আবিষ্কার করেন।
আরো পড়ুনঃ কিডনি ভালো আছে কিনা বোঝার উপায় জেনে নিন।
স্টিভ জবস হলেন একজন সফটওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার। এবং এর সাথে সাথে তিনি একজন বিজনেসম্যান এবং ডিজাইনার। যিনি আইফোনের বিজনেস দাঁড় করানোর পেছনে অনেক বড় একটি ভূমিকা রেখেছেন এবং বিভিন্ন আইফোন মডেলের ডিজাইন তৈরিতে তার অবদান রয়েছে।
২০০৫ সাল থেকেই স্টিভ জবস এবং তার দল মিলে আইফোন আবিষ্কার করার চেষ্টায় মগ্ন ছিল। এবং দীর্ঘ দুই বছর কঠোর পরিশ্রম করার পর তারা ২০০৭ সালে প্রথম iphone তৈরি করে। এবং আইফোনের প্রথম স্মার্ট ফোন ২৯ জুন, ২০০৭ সালে বাজারে আসে।
স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন।
স্মার্টফোন আবিষ্কার হয় ১৯৯৪ সালে। এবং এই স্মার্টফোনটি আবিষ্কার করার পর এর নাম দেওয়া হয়েছিল সিমেন। আপনাদের অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন। এবং এই সিমেন নামটি দ্বারা অনেক ক্ষেত্রে এটি প্রমাণ হয়, যে মার্টিন কুপার স্মার্টফোনের জনক বা আবিষ্কারক।
কেননা এই সিমেন নামটি স্মার্টফোনের মধ্যে সর্বপ্রথম যিনি যুক্ত করেছিলেন তিনি ছিলেন মার্টিন কুপার যার ব্যাখ্যা আমরা বিভিন্ন স্থান হতে পাই। অবশ্যই স্মার্টফোনের জনক সম্পর্কে সম্পূর্ণ জ্ঞান অর্জন করতে হলে আমাদেরকে স্মার্টফোনের আবিষ্কার কত সালে তা জানতে হবে। আর সকল কিছুর ওপর ভিত্তি করে আপনি যেন স্মার্টফোনের আবিষ্কারের সাথে কত সালে আবিষ্কার হয় তা জানতে পারেন তাই এখানে তথ্যগুলো উল্লেখ করেছি।
কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে ভালো।
বিশ্বের বিভিন্ন নির্মাতা আইফোন কোম্পানি রয়েছে। তাদের মধ্যে থেকে কোন দেশের আইফোন সবচেয়ে ভালো এটা অনেকেই প্রশ্ন করে থাকেন। আপনাদের উদ্দেশ্যে আমরা বলতে পারি। যুক্তরাষ্ট্র, চীন, তাইওয়ান, জাপান, থাইল্যান্ড, ফিলিপাইন, ভিয়েতনাম, মালেশিয়া, এবং ইন্দোনেশিয়া দীর্ঘকাল ধরে এই ডিভাইস গুলো তৈরি করে আসছে।
এবং বেশিরভাগ অন্যান্য কোম্পানির সাথে অতুলনীয় দক্ষতা অর্জন করেছে। তবে এসব দেশের মধ্যে চীন ভালো মানের আইফোন তৈরি করছে। তবে প্রথম প্রজন্মের আইফোনটি তাইওয়ানের কোম্পানি হোনহাই এর শেনজেন কারখানায় করা হয়েছিল। তবে আপনারা যারা সর্বশেষ এবং সর্বশ্রেষ্ঠ বৈশিষ্ট্যসমূহ একটি আইফোন কিনতে চান তাদের জন্য জাপান একটি দুর্দান্ত বিকল্প।
জাপানি ক্যারিয়ার গুলি প্রায়শই আইফোন গুলিতে একচেটিয়া ডিল অফার করে এবং iphon15 এর ব্যতিক্রম হবে না বলে আশা করা হচ্ছে। আইফোন বাজারে সবচেয়ে জনপ্রিয় স্মার্টফোন গুলির মধ্যে একটি এবং এটি ব্যবহারকারীদের অফার করার জন্য অনেক কিছু রয়েছে। এর বিহত রেটিনা ডিসপ্লে, ফেস আইডি প্রযুক্তি এবং শক্তিশালী ক্যামেরা সহ, অন্যান্য ফিচার অনেক বেশি আধুনিক প্রত্যেকের জন্য আইফোন একটি দুর্দান্ত পছন্দ।
ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন।
ইন্টারনেট একদিনে আবিষ্কার হয়নি। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ পরবর্তী যুক্তরাষ্ট্র-সোভিয়েত কোল্ড ওয়ারের সময় ইউএসএ সম্ভাব্য যুদ্ধের পরিস্থিতিতে তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থা যেন একেবারে ধ্বংস না হয়ে যায়। সেই উদ্দেশ্যে টেলিগ্রাম টেলিফোনের বিকল্প হিসেবে তাদের সামরিক বাহিনীর জন্য মিলনেট নামে একটি কম্পিউটার নেটওয়ার্ক তৈরি করে।
এটাই পরবর্তীতে ধীরে ধীরে উন্নতি হয়ে আজকের ইন্টারনেটে পরিণত হয়েছে। আধুনিক ইন্টারনেট আবিষ্কার হয় ১৯৬৯ সালে। ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন, এটা অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে। চলুন আমরা আজকে জেনে নেই। ইন্টারনেটের আবিষ্কারক স্যার টিম বার্নার্স লি। ব্রিটিশ এই কম্পিউটার বিজ্ঞানী ২০ শতকের শেষের দিকে এসে ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব বা www তৈরি করেন।
বার্নার্স লি হাইপারটেক্সট ট্রান্সফার প্রোটোকল বা এইচটিপির মাধ্যমে অন্যের সঙ্গে যোগাযোগে প্রথম ইন্টারনেট ওয়েবসাইট তৈরি করেন ১৯৮৯ সালে। যা ওয়ার্ল্ড ওয়াইড ওয়েব নামে পরিচিতি পায়। ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট বিশ্বের প্রথম ওয়েবসাইট খুলে দেন তিনি তবে প্রথম ভিজিটর আসে ২৩ আগস্ট বার্নার্স লি ৮ জুন ১৯৫৫ সালের লন্ডনে জন্মগ্রহণ করেন।
সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন।
বিশ্বের প্রথম সিম কার্ড কে আবিষ্কার করেন; ১৯৯১ সালে, জার্মান কোম্পানি Giesecke+Devrient প্রথম সিম কার্ড চালু করেন। এটি একটি ক্রেডিট কার্ডের আকার ছিল এবং এটিকে গ্রাহক পরিচয় মডিউল (সিম) বলা হয়। মিনি সিমটি ১৯৯৬ সালে চালু হয়েছিল। সর্বপ্রথম যে সিম কার্ড ব্যবহার করা হতো সেই সিম কার্ডের কোন ধরন ছিল না।
সেই সময় ব্যবহার সিম কার্ডটি উপস্থিতিতে একটি এটিএম কার্ডের মত ছিল। সেটি ধীরে ধীরে আকারে ছোট হয়ে যায় এবং তার নাম পরিবর্তন করা হয়। ১৯৯৬ সালে মিনি সিম কার্ড বেশিরভাগ মোবাইলে ব্যবহার করা শুরু হয়েছিল। তারপর ২০০৩ সালে, আরো ছোট করে সিম কার্ডের নাম মাইক্রো সিম এবং উক্ত সিমটি ২০১০ সালে apple iphone এ, সর্বপ্রথম ব্যবহার করা হয়েছিল।
অ্যাপেলের পরে এন্ড্রয়েড মোবাইলে মাইক্রো সিম ব্যবহার করা শুরু হয়। মাইক্রো সিমের পরে আরো একটি সিম আসে। সেই সিমটির নাম ন্যানো সিম কার্ড। তারপর ২০১৪ সালের পরবর্তী সময়ে, তৈরিকৃত সব স্মার্টফোনের জন্য ন্যানো সিম কার্ড ব্যবহার করা শুরু হয়।
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে বিভিন্ন কোম্পানির সিম কার্ড গুলো আমরা ব্যবহার করতে পারছি। যেমন- গ্রামীণ, রবি, বাংলালিংক, এয়ারটেল, টেলিটক সিম ইত্যাদি। আর বাংলাদেশে একটি এনআইডি কার্ড ব্যবহার করে সর্বোচ্চ ১৫ টি সিম কার্ড কিনতে পারে।
শেষ কথাঃ
প্রিয় বন্ধুরা আমার এই আর্টিকেলটিতে আমি চেষ্টা করেছি। মোবাইল ফোন কে আবিষ্কার করেন, বিশ্বের প্রথম মোবাইল কোম্পানির নাম কি? ইন্টারনেট কে আবিষ্কার করেন। আইফোন কে আবিষ্কার করেন। স্মার্টফোন কে আবিষ্কার করেন। ইত্যাদি বিষয়ে আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার চেষ্টা করেছি।
আমি আশা করি আপনারা আমার এই আর্টিকেলটি পড়ে অনেক উপকৃত হবেন। উক্ত বিষয়গুলো পড়ে যদি কোন প্রশ্ন/মতামত থাকে তবে আমাদের কমেন্ট করে জানাতে পারেন। এবং পোস্টটি পড়ে ভালো লেগে থাকলে সোশ্যাল মিডিয়ায় বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন।
রাত্রী গ্রুপের সাথে থাকার জন্য আপনাদেরকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url