ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি? বিস্তারিত জেনে নিন।

সম্মানিত পাঠক আসসালামু আলাইকুম! ঘনঘন মাথা ব্যথার কারণ কি? আপনি কি এই সম্বন্ধে জানতে চাচ্ছেন। তাহলে আজকের আর্টিকেলটি আপনার জন্য, আবার মাথা ভার কমানোর ওষুধ এর নাম। এটাও আপনাকে জানিয়ে দিবো। তো চলুন আজকে আমরা সেই সকল বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই।
ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি? বিস্তারিত জেনে নিন।

আজকে আমার আর্টিকেলটিতে, ঘন ঘন মাথা ব্যথার কারণ, মাথা ভারি লাগার কারণ, মাথা চাপ ধরে থাকার কারণ, মাথাব্যথা হলে করণীয়, মাথাব্যথা কোন রোগের লক্ষণ ইত্যাদি। এই সকল বিষয়ে আলোচনা করা হবে। এজন্য আপনাকে আজকের আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহ পড়তে হবে।

ঘন ঘন মাথা ব্যাথার কারণ কি? বিস্তারিত জেনে নিন।

ঘনঘন মাথা ব্যথার কারণ কি? এ সম্পর্কে জানতে চাচ্ছেন, তাহলে সঠিক জায়গায় এসেছেন।মাথা ব্যথার ধরন বুঝে নির্ণয় করা সম্ভব কেন কি কারনে সমস্যা হচ্ছে। খুব পরিচিত দুটি কারণ হলো মাইগ্রেন আর টেনশন। এর মধ্যে ৭০% টেনশন টাইপ হেডেক ১১ শতাংশের জন্য দায়ী মাইগ্রেন। 
ধূমপান, মধ্যপান, মাদকাসক্তি, অনিয়মিত অতিরিক্ত ঘুমের ওষুধ সেবন, রোদ বা অতিরিক্ত গরম আবহাওয়া, অতিরিক্ত শারীরিক-মানসিক পরিশ্রম, ক্ষুধার্ত থাকা, মানসিক চাপ ইত্যাদি মাথাব্যথার কারণ। এই সমস্ত সমস্যা থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে, সবার আগে এসব অভ্যাস পরিবর্তন আনতে হবে

মাইগ্রেনঃ

সাধারণত নারীরাই মাইগ্রেনে বেশি ভোগেন। সাধারণত ১৫ থেকে ১৬ বছর বয়স থেকেই মাইগ্রেনের লক্ষণ দেখা দেয়। স্থায়ী হয় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ বছর বয়স পর্যন্ত। মাইগ্রেনে মাথা ব্যথার লক্ষণগুলো হলো;

  • মাথা যেকোনো একপাশে ব্যথা হয়। একবার একপাশে ব্যথা হলে পরের বার অন্য পাশে ব্যথা হতে পারে।
  • চার ঘন্টা থেকে ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত ব্যথা স্থায়িত্ব হতে পারে।
  • মাথার দুই পাশের রক্তনালী বা রগ টনটন করছে বলে মনে হওয়া।
  • ব্যথা তীব্রতায় কোন কাজই ঠিকভাবে করা যায় না।
  • আলো বা শব্দে ব্যাথার তীব্রতা বেড়ে যায়।
  • ব্যথার সঙ্গে বমি ভাব বা বমি হতে পারে।
  • ব্যথা শুরুর আগে চোখের সামনে আলো নাচানাচি, আঁকাবাঁকা লাইন ইত্যাদি উপসর্গ দেখা দিতে পারে।
  • অন্ধকারে শুয়ে থাকলে ব্যথা তীব্রতা কমে।

টেনশন টাইপ হেডেকঃ

মাথার মাংসপেশি সংকোচনের কারণে এ মাথাব্যথা হয়। এধরনের ব্যথার উপসর্গগুলো নিচে আলোচনা করা হলো।
  • মাথাজুড়ে ব্যথা হয়।
  • মাথা চেপে ধরে আছে-এমন অনুভূতি হওয়া।
  • মাইগ্রেনের মতো ততটা তীব্র ব্যথা হয় না।
  • এ ধরনের মাথাব্যথা কয়েক ঘন্টা থেকে কয়েক দিন পর্যন্ত স্থায়ী হতে পারে।
  • দুশ্চিন্তা, পারিবারিক বা পেশাগত কিংবা মানসিক চাপের সঙ্গে ব্যথার সম্পর্ক আছে।

মাথা ভার কমানোর ওষুধ।

মাথা ভার কমানোর ওষুধের নাম জেনে নিন। Elipran 20mg Tablet মাইগ্রেন মাথা ব্যথার চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত হয়। Elipran 20mg Tablet শুধুমাত্র যে মাথাব্যথা আগে থেকেই শুরু হয়েছে শুধুমাত্র সেই ধরনের মাথাব্যথা কে চিকিৎসা করতে ব্যবহৃত করা হয়। আবার ব্যথা নাশক ওষুধ যেমন প্যারাসিটামল বা আইবুপ্রোফেন মাথা ব্যথা কমাতে সহায়তা করে। 
মাঝেমধ্যে এস্পিরিন ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়ে থাকে। গর্ভাবস্থায় ব্যথা নাশক ওষুধ হিসেবে প্যারাসিটামল সবচাইতে ভালো। ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতীত এই সময়ে আইবুপ্রোফেন সেবন করবেন না।

মাথা ভারী লাগার কারণ।

মাথা ভারী লাগার কারণ কি? আমরা অনেকেই জানিনা। তো চলুন আমরা জেনে নেই আসলে মাথা ভারী হয়ে থাকে কেন। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাথা সবসময় ভারী হয়ে থাকলে এটি ব্রেন স্টোকের প্রাথমিক লক্ষণ। সময় থাকতে সচেতন হতে হবে সবাইকে। 
বছরে একবার দুইবার মাথাব্যথা হলে তেমন কোন সমস্যার আশঙ্কা নেই। তবে মাঝে মাঝে মাথা ব্যাথা নিয়মিত মাথায় ব্যথা হলে অবশ্যই সতর্ক হতে হবে। কারণ এর পিছনে গুরুতর কোন ইঙ্গিত থাকলেও থাকতে পারে। যেমনঃ-

১। টেনশনঃ

মাথার পিছনের দিকে হয় টেনশন হেডেক। এক্ষেত্রে ঘাড়ের সামান্য উপরে ব্যাথা করে। প্রথমে মাথার এই অংশটি ভারি হয়ে যায়। তারপর ব্যথা শুরু করে। কাঁধ এবং গলা শক্ত হয়ে যাওয়ায় এই সমস্যার অন্যতম লক্ষণ। আবার অনেক সময় এই টেনশন হেডেক কপালে শুরু হয়। সেক্ষেত্রে চোখেও এই সমস্যা শুরু হয়।

২। চোখের সমস্যাঃ

চোখের সমস্যা হলে সেই উপসর্গ কেবল চোখে আটকে থাকে না। বরং চোখের পাশাপাশি মাথা ব্যথা হতে পারে অন্যতম কারণ। এক্ষেত্রে মাথা সামনের দিকে, আরও নির্দিষ্ট করে বললে কপালে ব্যথা হয়। একটু রেস্ট নিলে এই ব্যথা কমে যায়।

৩। সাইনাসঃ

সাইনাস হলো মাথার ভিতর থাকা ছোট্ট ছোট্ট পায়ে ভর্তি কুঠুরি। এই বায়ু ভর্তি কুঠুরি মাথা হালকা রাখতে সাহায্য করে। তবে কোনও সংক্রমণের কারণে মাথার ভেতরের এই অংশে তৈরি হয় সমস্যা। সে ক্ষেত্রে এই কুঠুরিতে প্রদাহ তৈরি হয়। তখন তীব্র মাথাব্যথা হয়ে থাকে।

৪। মাইগ্রেনঃ

মাইগ্রেনের ব্যথা মাথার এক নির্দিষ্ট অংশ হতে পারে। আবার সেই ব্যথা মাথা ছাড়িয়ে চোখেও চলে আসতে পারে। তবে এই ব্যথা আলাদা হয়। এবার বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মাইগ্রেনের ব্যথার পিছনে কিছু ট্রিগার ফ্যাক্টর থাকতে পারে। এক্ষেত্রে আলো, শব্দ, গন্ধ সহ বিভিন্ন কারণে মাথায় এমন ব্যথা হয়।

মাথা ব্যাথা হলে করণীয়।

মাথা ব্যাথা হলে করণীয় কি চলুন আমরা জেনে নেই। আমাদের কর্মচাঞ্চল্য দিনে মাথাব্যথা একটি নিয়মিত সমস্যা। প্রতিদিন অফিসে বা বাসায় কাজের সময় মাথাব্যথা কাজের ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। সাধারণত অতিরিক্ত কাজের চাপে, ঘুম কম হলে, টেনশন হলে বা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টির অভাবেও হতে পারে মাথা ব্যথা। মাথাব্যথা আমাদের স্বাভাবিক কাজকর্ম সম্পন্ন করতে ব্যাহত করে। 
তাই হঠাৎ মাথাব্যথা হলে জেনে রাখুন কিছু প্রয়োজনীয় টিপস যা আপনার কাজে আসতে পারে।
মাথাব্যথা থেকে যে অস্বস্তিকর পরিস্থিতির তৈরি হয়, তা দূর করতে ম্যাসাজ অনেক কার্যকরী। আকুপ্রেশার পদ্ধতিতে চোখের ও কপালের আশেপাশের এলাকায় দুই থেকে তিন মিনিট মেসেজ করুন আরাম পাবেন।

  • অতিরিক্ত ধূমপান ও মাথাব্যথার অন্যতম কারণ তাই দুশ্চিন্তায় পড়ে অতিরিক্ত ধূমপানে আসক্ত হবেন না।
  • প্রতিদিন প্রয়োজনীয় বিশ্রাম নিন। রাতে কমপক্ষে ছয় থেকে আট ঘন্টা ঘুম প্রয়োজন।
  • প্রচুর পরিমাণে পানি পান করুন প্রতিদিন আর সময় মত খাবার খান। পেটে ক্ষুধা থেকেও অনেক সময় মাথাব্যথা হয়।
  • মাথা ব্যাথা দূর করতে আদার রস খেতে পারেন। সম পরিমাণে আদা ও লেবুর রস মিশিয়ে খেলে উপকার পাবেন। নিয়মিত খেলে মাথা ব্যাথা কম হবে।
  • পুদিনা পাতার রস মাথাব্যথার জন্য অনেক উপকারী। বেশি মাথাব্যথায় পুদিনা পাতা জুস করে খেয়ে নিন কিছুটা হলেও কমে যাবে।
  • প্রাথমিকভাবে মাথাব্যথা দূর করার জন্য ওষুধ সেবন না করাই ভালো। তবে অতিরিক্ত মাথা ব্যথায় ডাক্তারের পরামর্শ মেনে ওষুধ খেতে পারেন।

মাথা ব্যাথা কোন রোগের লক্ষণ।

মাথাব্যথা কোন রোগের লক্ষণ আসুন জেনে নিই। মানসিক চাপের কারণে মাথাব্যথা হতে পারে, মাথার গোড়ার কাছে একটি নিস্তেজ ঝাঁকনি ব্যথা হতে পারে। বাত; ঘাড়ের অঞ্চলে শোথ এবং প্রদাহ বাতের মাথা ব্যথার প্রধান কারণ। মাথা এবং ঘাড়ের পিছনে ব্যথা সাধারণত একটি উপসর্গ। মাথাব্যথা সম্পর্কে জানতে রাত্রি গ্রুপের পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। 

ঢাকা মেডিকেল কলেজ এবং হাসপাতালের অধ্যাপক (মেডিসিন) ডক্টর আবুল কালাম আজাদের সঙ্গে মাথা ব্যথা কেন হয়, এবং এর প্রতিকার কি? তা বিস্তারিত ভাবে জানালেন তিনি।

প্রাইমারি হেডেকঃ

নব্বই শতাংশ ক্ষেত্রে মাথা ব্যাথা গুলো প্রাইমারি হেডেক। এগুলো সিরিয়াস কোন রোগ নির্দেশন করে না।

সেকেন্ডারি হেডেকঃ

এটি মাথা, ঘাড় বা শরীরের অন্য কোন অংশের সিরিয়াস কোন রোগ নির্দেশ করে। মোট মাথা ব্যথার ১০% ক্ষেত্রে এটি দেখা যায়। ১ শতাংশ মাথা ব্যথা ব্রেন টিউমারের কারণে হয়ে থাকে। রোগীর মধ্যে কোন খারাপ লক্ষণ বা রেট ফ্ল্যাগ সাইন আছে কিনা তা যেমন একজন চিকিৎসকের জন্য জানা জরুরী, তেমনি মাথাব্যথা রোগীদেরও কিছু ধারণা রাখা দরকার।

করণীয়ঃ

যদি দেখেন মাথা ব্যাথার কারণে আপনি আপনার স্বাভাবিক কর্ম ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেছেন। পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়ার পরও বারবার হচ্ছে। বা উপরে উল্লেখিত কোন রেড ফ্লাগ সাইন বা খারাপ লক্ষণ দৃশ্যমান হচ্ছে তাহলে অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া ভীষণ জরুরী।

গ্যাস থেকে মাথা ব্যাথা। 

গ্যাস থেকে মাথা ব্যথার কারণ কি? আসুন জেনে নেই। যখন গ্যাসের কারণে পাকস্থলী বা অন্ত বিসতিক্ত হয়, তখন এটি রক্তনালী বা স্নায়ু সহ নিকটবর্তী কাঠামোর উপর চাপ সৃষ্টি করতে পারে। এই চাপ মাথাব্যথা শুরু করতে পারে। সেখানে একটি সম্ভাব্য অপরাধী যা প্রায়শই অলক্ষিত হয় গ্যাস। 

আপনি ঠিকই পড়েছেন-আপনার পরিপাকতন্ত্রে আটকে থাকা গ্যাসের পকেট গুলি তীব্র মাথাব্যথা ও অসস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। এই ব্লগে, আমরা গ্যাস এবং মাথা ব্যথার মধ্যে কৌতুহলী সংযোজনের গভীরে অনুসন্ধান করি। আমরা এই আশ্চর্যজনক ঘটনার পিছনে প্রক্রিয়াগুলি অম্বেষণ করব।

গ্যাস্ট্রিক মাথা ব্যথার সাধারণ লক্ষণ গুলির মধ্যে অন্তর্ভুক্ত থাকতে পারেঃ-
  • মাথা ব্যথাঃ সাধারণত, এটি একটি নিস্তেজ, বেদনাদায়ক ব্যথা যা তীব্রতাই পরিবর্তিত হতে পারে।
  • পেটে অস্বস্তিঃ আপনি ফুলে যাওয়া, সাধারণ পেটে অস্থিতি অনুভব করতে পারেন।
  • গ্যাস এবং বেলচিংঃ ঘন ঘন ফুসকুড়ি বা গ্যাস পাস হতে পারে।
  • বমি বমি ভাবঃ গ্যাস্টিক মাথা ব্যথা সহ কিছু ব্যক্তি বমি বমি ভাব অনুভব করতে পারেন।
  • পূর্ণ অনুভূতিঃ এমনকি একটি বড় খাবার না খেয়েও আপনি অতিরিক্ত পরিপূর্ণ বোধ করতে পারেন।
  • অতিরিক্ত গ্যাসঃ সবচেয়ে সুস্পষ্ট কারণ হলো পেট বা অন্তরে অতিরিক্ত গ্যাসের উপস্থিতি। এটি খাওয়া বা পান করার সময় বাতাস গিলে ফেলা, গ্যাস উৎপাদনকারী খাবার খাওয়া বা ধীরে ধীরে হজমের ফলে হতে পারে যা গ্যাস তৈরির দিকে পরিচালিত করে। এটা মনে রাখা গুরুত্বপূর্ণ যে গ্যাস-প্রচলিত মাথা ব্যথা কিছু ব্যক্তির জন্য সম্ভাব্য ব্যাখ্যা, মাথা ব্যথার বিভিন্ন কারণ থাকতে পারে। আপনি যদি বরাবর বা গুরুতর মাথাব্যথা অনুভব করেন তাহলে একজন বিশেষজ্ঞ, ডক্টর এর সাথে পরামর্শ করার পরামর্শ দেওয়া হয়।

শেষ কথাঃ-

প্রিয় বন্ধুগণ,ঘনঘন মাথা ব্যথার কারণ কি বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে আমাদের এই আর্টিকেলটিতে। এছাড়াও মাথা ভার কমানোর ওষুধ, মাথা ভারী লাগার কারণ, মাথা ব্যথা হলে করণীয়, গ্যাস থেকে মাথা ব্যথা ইত্যাদি বিষয়ে আলোচনা করেছি। আশা করি উপরোক্ত বিষয়গুলো মনোযোগ সহ পড়লে আপনি উপকৃত হবেন। 

এতক্ষণ আমাদের সঙ্গে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ। এ ধরনের তথ্যমূলক আর্টিকেল যদি আরো পড়তে চান তাহলে নিয়মিত আমাদের ওয়েবসাইটটি ফলো করতে থাকুন। কারন আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়মিত এ ধরনের আর্টিকেল প্রকাশ করে থাকি। সকলের সুস্বাস্থ্য কামনা করে এখানেই বিদায় নিচ্ছি (আল্লাহ হাফেজ)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url