ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন - চুল কালো করার উপায়।

সম্মানিত পাঠক, আসসালামু আলাইকুম! আমরা আজকে ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন - চুল কালো করার উপায় সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। আবার পাকা চুল কালো করার হোমিও ঔষধ এর নামটিও আপনাদেরকে জানিয়ে দিবো। তো চলুন এই সকল বিষয়ে আমরা জেনে নিই।

এছাড়াও আমার আর্টিকেলটিতে আমি চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে জানানোর। চুল কালো করার তেলের নাম, লালচে চুল কালো করার উপায়, লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়, এছাড়া আরো বেশ কিছু পয়েন্ট নিয়ে আলোচনা করেছি তো চলুন সেই সকল বিষয় সম্পর্কে আমরা বিস্তারিত জেনে নিই।

ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন - চুল কালো করার উপায়।

ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন - চুল কালো করার উপায় সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করবো। অল্প বয়সে চুল পাক ধরেছে এমন ব্যক্তির সংখ্যা হাজার, হাজার। বয়স বাড়লে চুলে পাক ধরা স্বাভাবিক, কিন্তু অল্প বয়সে এমনটা হলে মন খারাপ করাটাই স্বাভাবিক। যদিও অনেকেই চুল কালো করার জন্য কৃত্রিম রং ব্যবহার করেন। এটি সাময়িক সৌন্দর্য দিলেও বাড়িয়ে দিতে পারে ক্ষতির পরিমাণ। 

তাই অসময়ে পাকা চুল কালো করতে হলে ঘরোয়া উপায়ের বিকল্প নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, চুলে অসময়ে পাক ধরার অন্যতম কারণ হলো ভিটামিনের অভাব। ভিটামিন বি-৬, বি-১২, বায়োটিন, ভিটামিন ডি, এবং ভিটামিন ই, এর ঘাটতির কারণে অল্প বয়সে চুল পাক ধরতে পারে। 

এছাড়া বেশিরভাগ ক্ষেত্রে জিনগত কারণ এই সমস্যার জন্য প্রধান দায়ী। অল্প বয়সে চুল পাক ধরলে বেছে নিতে পারেন নিচের এই ঘরোয়া উপায় গুলো-;

আমলকি ও নারিকেল তেলঃ

আমলকিতে থাকে প্রচুর ভিটামিন সি। চুলের ক্লোজেন উৎপাদন বাড়াতে কাজ করে এই ভিটামিন। আমলকি ও নারিকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে তা পাকা চুল কালো করতে সাহায্য করে। সেজন্য আপনাকে দুই চা চামচ আমলকির গুঁড়া ও তিন চা, চামচ হালকা গরম নারিকেল তেল নিতে হবে। এরপর ভালো করে মিশিয়ে তেল টুকু ঠান্ডা করে নিতে হবে। 

মিশ্রণটি ঠান্ডা হলে চুলের গোড়ায় ভালোভাবে লাগিয়ে নিন। এভাবে অপেক্ষা করুন এক ঘন্টার মতো। এরপর ভালো ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু দিয়ে ধুয়ে ফেলুন, এভাবে সপ্তাহে ৩ দিন ব্যবহার করুন। এটি প্রাকৃতিকভাবে আপনার চুল কালো করতে সাহায্য করবে।

লেবুর রস ও নারিকেল তেলঃ

উচ্চমাত্রার ভিটামিন সি ও ফসফরাস যুক্ত ফল হল লেবু। লেবু খাওয়ার উপকারিতা তো জানেন, চুলের যত্নেও এটি সমান কার্যকরী। কারণ লেবুতে থাকা ভিটামিন সি ও ফসফরাস চুলের পিগমেন্টেশন বজায় রাখতে কাজ করে। এটি ব্যবহার করার জন্য আপনাকে দুই চা চামচ লেবুর রস নিতে হবে। 

এরপর এর সঙ্গে মেশাতে হবে দুই চা- চামচ হালকা গরম নারিকেল তেল, মিশ্রণটি ভালো করে চুলের গোড়ায় লাগাতে হবে। ঘন্টাখানেক রেখে চুলে শ্যাম্পু করে নেবেন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবেন।

কারিপাতা ও নারিকেল তেলঃ

চুল কালো রাখতে দারুন কার্যকরী একটি উপাদান হলো কারিপাতা, কারণ চুল কালো করতে প্রয়োজন হয় মেলালিন। আর কারিপাতায় এই উপাদান থাকে পর্যাপ্ত। সেই সঙ্গে এটি নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। একটি পাত্রে তিন চা- চামচ নারিকেল তেল নিন। ৫থেকে ৬টি কারিপাতা দিন। এবার চুলায় বসিয়ে হালকা আচে নাড়তে থাকুন। মিশ্রণটি কালচে হয়ে এলে নামিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। 

এরপর চুলের গোড়ায় এই তেল মেসেজ করে নিন। অপেক্ষা করুন ঘন্টাখানেক এরপর শ্যাম্পু করে নিন। এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন এই তেল ব্যবহার করলে উপকার পাবেন।

চা পাতাঃ

চুল কালো করার সবচেয়ে ভালো এবং সহজ উপায় হলো চা পাতা। তিন টেবিল চামচ চা-পাতা পানিতে ফুটিয়ে রেখে দিন। পানি ঠান্ডা হলে মাথায় লাগিয়ে এক ঘন্টা পর ধুয়ে ফেলুন এভাবে সপ্তাহে দুই থেকে তিন দিন ব্যবহার করুন ভালো ফলাফল পাবেন।

পাকা চুল কালো করার হোমিও ঔষধ।

পাকা চুল কালো করার হোমিও ঔষধ এর নাম আমরা আজকে আপনাদেরকে জানিয়ে দিবো সেজন্য আপনাদেরকে আমার এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়তে হবে। আমাদের শরীরে কিছু কিছু রোগের চিকিৎসা হোমিওপ্যাথি ওষুধে খুব ভালো কাজ করে। হোমিওপ্যাথি ওষুধে খুব দ্রুত কিছু কিছু রোগ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। সেই কিছু রোগগুলোর মধ্যে চুল পড়া ও একটি রোগ। 

যেটার চিকিৎসা খুব দ্রুত করা যায় হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা দ্বারা। তাহলে চলুন জেনে নিই চুল পাকা বন্ধের ওষুধ হোমিওপ্যাথি হিসেবে কি কি আছে।

  • Acid Phosphoricum 200 CH
  • Acid Phosps 200
  • Thuja Occaidentalis
  • Babchi Oil
  • Oasis
  • Lycopodium 200
  • Lycopodium 1000
  • Lycopodium Clavatum 200 CH
  • Jaborandi
  • Arnica Montana
  • Psoralea Corylifolia

চুল কালো করার তেলের নাম।

চুল কালো করার তেলের নাম কি এই সম্পর্কে আমরা আজকে বিস্তারিত আলোচনা করবো। মনে অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা করলে কিংবা মানসিক রোগে ভুগলে অকালে চুল পেকে যায়। আপনারা অনেকেই আপনাদের মাথার পাকা চুল কালো করার জন্য হেয়ার কালার শ্যাম্পু, কলম কিংবা বাজার থেকে বিভিন্ন পণ্য ইত্যাদি এনে আপনার মাথার পাকা চুলের গোড়ায় লাগান। 

এতে আপনার মাথার পাকা চুল কালো হওয়ার বদলে আরো ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। কারণ বাজারে থাকা পণ্যের রং ও কেমিক্যাল ইত্যাদি মেশানো থাকে। তাই বাজারে থাকা এগুলো পণ্য মাথায় মাখবেন না। আপনার মাথার চুল কালো করার জন্য সরষে তেল খুবই কার্যকারী। এবং সরষে তেল নিয়মিত মাখলে আপনার মাথার পাকা চুল কালো করতে অনেক সাহায্য করবে।

এবং চুল ঘন ও মজবুত রাখতে সহায়তা করবে। এছাড়াও আপনি এক সপ্তাহ কিংবা দুই সপ্তাহ পরপর গাজরের রস এবং তিলের তেল একসাথে মিশিয়ে আপনার মাথার পাকা চুলের গোড়ায় খুব ভালো করে লাগান। এভাবে একঘন্টা পর কুসুম গরম পানি কিংবা নরমাল পানি দিয়ে মাথা ভালো করে ধুয়ে ফেলুন। এভাবে সপ্তাহখানেক ব্যবহার করলে আপনি অনেক উপকৃত হবেন। 

এছাড়াও মাথার চুল কালো করার জন্য অনেক ধরনের তেল রয়েছে যেমনঃ নারিকেল তেল, সরিষার তেল, অলিভ অয়েল তেল, ভ্যাসমল তেল, দুলহান তেল ইত্যাদি। এগুলো তেল আপনার মাথায় মাখলে আপনার মাথার পাকা চুল কালো করতে অনেক সাহায্য করবে। আশা করি, চুল কালো করার তেলের নাম কি আপনারা এই সম্পর্কে জানতে পেরেছেন।

লালচে চুল কালো করার উপায়।

লালচে চুল কালো করার উপায় সম্পর্কে আমরা আজকে আলোচনা করবো। রোদে পুড়ে অযত্ন-অবহেলায়, রং বা রাসায়নিক উপাদান ব্যবহারের কারণে অনেকের চুল লালচে হয়ে পড়ে। এমন চুলের যত্ন কিভাবে নেবেন পরামর্শ দিয়েছেন বিউটি জন (শিমু চৌধুরী)। তিনি বলেন আমাদের দেশের মানুষের চুলের সাধারণ রঙ মূলত কালো। আজকাল অনেকেই চুলের বিভিন্ন রং করেন। 

এতে অনেক সময় দেখা যায় চুলের প্রাকৃতিক রং হারিয়ে লালচে ভাব চলে আসে। এটা নিয়ে পরে আফসোস করেন, কেউ কেউ কৃত্রিমভাবে কালো রং করিয়ে নেন। কিন্তু তাতেও চুলের লালচে ভাব পুরোপুরি যায় না। চুল লাল হওয়ার প্রধান কারণ হলো কড়া রোদ। রোদে চুল খুলে রাখলে চুলের কোলাজেন টিস্যুর ক্ষতি হয়। 

আবার অনেক ইলেকট্রনিক জিনিসপত্রের ব্যবহারের কারণে চুলের কোলাজেন টিস্যু ক্ষতিগ্রস্ত হয় ও চুলের রং কালো থেকে লালচে হয়ে আসে। অনেকে চুলের যত্নে মধু ব্যবহার করেন, ঘনঘন মধু লাগলে চুল স্বাভাবিক রং হারিয়ে ফেলে। চুলের এই লালচে ভাব যদি চলেই আসে তার মানে হচ্ছে আপনার চুল একটা ক্ষতিকর অবস্থায় আছে। কিছু সাধারন নিয়ম মেনে চললেই চুলের এই অবস্থা এড়ানো সম্ভব।

  • ১। রোদে বের হওয়ার সময় স্ক্যাপ দিয়ে মাথা ঢেকে বের হতে হবে। রোদ চুলের অনেক ক্ষতি করে।
  • ২। রোদে বের হওয়ার আগে আর গোসলের পরে চুলে হেয়ার সেরাম ব্যবহার করতে হবে। এটি চুলকে রোদ আর ধুলাবালি হাত থেকে বাঁচাবে।
  • ৩। চুলের জন্য কেমিক্যাল প্রোডাক্ট ক্ষতিকর, হারবাল প্রোডাক্ট ব্যবহার করতে হবে।
  • ৪। ভেজা চুলে বাইরে বের হওয়া উচিত নয়, এতে বাইরের ধুলো ময়লা সব চুলে আটকে যায় আর এর ফলে চুল রুক্ষ হয়ে যায়। তাই বাইরে বের হওয়ার আগে চুল শুকিয়ে বের হতে হবে।

এবার চলুন কিছু ঘরোয়া টিপস শেয়ার করি যেগুলি ব্যবহার করলে লালচে চুল খুব সহজে কালো করা যায়।

  • ১। টক দই আর ডিমের মিশ্রণে লালচে চুলের ক্ষেত্রে ভালো কাজ করে। সপ্তাহে একদিন অথবা দুই দিন প্রোটিন রিচ হেয়ার মার্কস লাগাতে পারেন। এজন্য একটা ডিম ফেটিয়ে নিয়ে এর সঙ্গে এক কাপ টক দই ভালো করে মিশিয়ে নিতে হবে। এবার মিশ্রণটি ৩০ মিনিট ফ্রিজে রেখে দিন। এরপর বের করে চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০ মিনিট অপেক্ষা করুন তারপর ধুয়ে ফেলুন।
  • ২। একটি ডিম, এক কাপ টক দই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ও নারিকেল তেল দিয়ে খুব সহজে তৈরি করে নিতে পারেন এই প্রোটিন প্যাক। ডিম ফেটিয়ে এতে দই, ভিটামিন ই ক্যাপসুল ভেঙ্গে দিয়ে সামান্য তেল দিয়ে ভালো করে মিশিয়ে নিন। এরপর মিশ্রণটি পুরো চুল ও মাথার ত্বকে ভালো করে লাগান। ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিন। সপ্তাহে এক থেকে দুই দিন লাগান ভালো ফল পাবেন।
  • ৩। লালচে চুল কালো করতে আমলকির উপকারিতা অনেক। এর সঙ্গে মেথি যোগ করলে আরো ভালো উপকারিতা পাওয়া যায়। মেথিতে অ্যামাইনো এসিড এবং লিকিথিন নামক উপাদান। যা লালচে চুল কালো করার ওষুধ, দুই চামচ মেথি সারারাত ভিজিয়ে রাখতে হবে এরপর মেথি নরম হলে বেটে নিন। তার সঙ্গে দুটি আমলকি যোগ করুন। এই পেস্ট পুরো চুলে ভালো করে লাগিয়ে আধা ঘন্টা অপেক্ষা করে শ্যাম্পু করে ফেলুন। এক বা দুবার ব্যবহারে ভালো ফল পাবেন।

লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়।

আপনারা চাইলেই লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করতে পারেন খুব সহজেই। লেবুর রসের সঙ্গে বিভিন্ন ধরনের উপাদান মিশিয়ে তুলে ব্যবহার করলে সামান্য পাতা চুল থাকলে তা কালো করা যায়। কম বয়সে যাদের চুল অল্প পরিমান পেকে গেছে তাদের ক্ষেত্রে এই পদ্ধতি গুলো কার্যকর হতে পারে। 

তাছাড়াও বয়স্করা এই পদ্ধতি গুলো ব্যবহার করলে চুলের কালার এবং উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে সহায়তা করবে। তবে চলুন দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায় গুলো আমরা জেনে নেই।

লেবুর রস ও নারকেল তেলঃ

পাকা চুল দূর করার জন্য বা কালো করার জন্য লেবুর রসের সাথে নারিকেল তেল মিশিয়ে চু্লে ব্যবহার করলে বেশ উপকারিতা পাওয়া যায়। ২ চা চামচ নারিকেল তেলের সাথে ৩ চা চামচ লেবুর রস মিশিয়ে মাথার চুলে ব্যবহার করুন। এই মিশ্রণটি কমপক্ষে মাথার চুলে ৩০ মিনিট ধরে মালিশ করুন।

এই পদ্ধতিতে কিছুদিন চুলে লেবুর রস ও নারকেল তেল মিশিয়ে একত্রে মালিশ করলে আপনার চুল কুচকুচে কালো হতে শুরু করবে। অল্প বয়সে ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে এই উপায়টি খুবই কার্যকরী। কম বয়সী ব্যক্তিরা এই উপায় অবলম্বন করলে মাত্র ৩০ দিনের মধ্যেই চুল কালো হতে শুরু করবে।

লেবুর রস ও মধুঃ

পাকা চুল কালো করার অন্যতম উপায় হলো লেবুর রস ও মধু ব্যবহার করা। ২ চা চামচ লেবুর রসের সাথে ১ চা চামচ মধু মিশিয়ে মাথার চুলের আগা এবং গুড়াতে লাগিয়ে ব্যবহার করুন। 

মিশ্রণটি ভালোভাবে মাথায় লাগানো হয়ে গেলে যখন দেখবেন শুকিয়ে যাবে তখন হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে ভালো মানের শ্যাম্পু করে নিবেন। এই মিশ্রণটি বেশ কিছুদিন ব্যবহার করলে আপনার পাকা চুল কালো হতে শুরু করবে।

ডিমের কুসুম ও লেবুর রসঃ

ডিমের কুসুম ও লেবুর রস বেশ কার্যকরী একটি পদ্ধতি চুল কালো করার জন্য। চুলের যত্নে লেবুর রস খুব ভালোভাবে কাজ করে থাকে, ঠিক তেমনি ডিমের কুসুম ব্যবহার করলে চুলের উজ্জ্বলতা বৃদ্ধি পায়। এই ডিমের কুসুম চুলকে চকচকে দেখাতে সাহায্য করে। এই মিশ্রণটি তৈরি করার জন্য প্রথমেই একটি ডিমের কুসুম নিবেন এবং তার সাথে ২ চা- চামচ লেবুর রস ও পানি মিশিয়ে মিশ্রণটি তৈরি করুন।

এরপর মিশ্রণটি ভালোভাবে লাগিয়ে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করতে থাকুন ১৫-২০ মিনিট পর চুল শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এভাবে আপনি যদি দুই থেকে তিন সপ্তাহ ব্যবহার করেন তাহলে আশা করি আপনার পাকা চুল কালো হতে শুরু করবে।

চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায়।

আপনার এতক্ষণে চুল কালো করার তেলের নাম সম্পর্কে জানতে পেরেছেন। তবে এই তেল গুলো ব্যবহার না করেও চুলপাকা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। আর এজন্য আপনাদের অবশ্যই চুল পাকা থেকে মুক্তির উপায় গুলো সম্পর্কে ভালোভাবে জানতে হবে। 

দৈনন্দিন জীবনে কিছু ভুলের কারণে চুল পাকার সমস্যাটি দেখা দিয়ে থাকে। তবে ভুলগুলো সংশোধন করে কিছু উপায় অবলম্বন করলে চুল পাকা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

  • মানসিক টেনশন, চুল পাকার অন্যতম কারণ হলো টেনসনে থাকা। আমাদের মধ্যে অনেকে আছে যারা সব সময় টেনশনে থাকে যার কারণে শরীরে বিভিন্ন ধরনের অসুখ দেখা দেয়। মাথায় সব সময় টেনশন থাকলে চুল পাকা সমস্যাটি দেখা দেয়। টেনশন থেকে মুক্তি থাকার জন্য বন্ধু-বান্ধবের সাথে সময় কাটান। অথবা ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলুন।
  • আমাদের শরীরের জন্য মিনারেল যুক্ত খাবার প্রয়োজন। কারণ এ ধরনের খাবারের শরীরে শক্তি তৈরি করতে সহায়তা করে। আর এই মিনারেল যুক্ত খাবার কম বয়সে চুল পেকে যাওয়া থেকে রক্ষা করে। এজন্য আপনারা চুল পাকা থেকে মুক্তি পেতে নিয়মিত মিনারেল যুক্ত খাবার গ্রহণ করবেন।
  • আপনারা অনেকেই জানেন ভিটামিন বি ও ভিটামিন-ই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখার জন্য কার্যকারী ভিটামিন। এ ছাড়া চুলের উজ্জ্বলতা ঠিক রাখতে এটি সহায়তা করে থাকে। এর জন্য আপনারা প্রতিদিন নিয়মিত ভিটামিন বি ও ভিটামিন ই' যুক্ত খাবার গ্রহণ করার চেষ্টা করবেন।
  • এছাড়া জানা গেছে ঘুম কম হওয়ার কারণে চুল পেকে যেতে পারে। একজন সাধারন ব্যক্তির কমপক্ষে ৭ থেকে ৮ ঘন্টা ঘুমানো উচিত। তাই আপনারা পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুমাবেন।
  • আর বেশি বেশি করে পানি পান করবেন। পানি কম পান করলে শরীরে বিভিন্ন ধরনের সমস্যা দেখা দেয়। পানি পান করলে শরীর অঙ্গ পতঙ্গ গুলো ভালো থাকে।
  • পাকা থেকে মুক্তির জন্য আপনাদের নিয়মিত প্রোটিন যুক্ত খাবার গ্রহণ করতে হবে। প্রোটিন যুক্ত খাবারের অভাবে অনেকেরই কম বয়সে চুল পেকে যায়। এজন্য সচরাচর প্রোটিন যুক্ত খাবার বেশি করে গ্রহণ করবেন।

শেষ কথাঃ

আমার প্রিয় পাঠকরা আজকের আর্টিকেলে আপনারা ভালোভাবে জেনে গেছেন, পাকা চুল কালো করার হোমিও ওষুধের নাম, চুল কালো করার তেলের নাম, লালচে চুল কালো করার উপায়, লেবু দিয়ে পাকা চুল কালো করার উপায়। সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য জেনে গেছেন আমি চেষ্টা করেছি আপনাদেরকে সঠিক তথ্য দেওয়ার। আশা করছি আমার আর্টিকেলটি আপনাদের অনেক উপকারে আসবে। 

আর এইরকম সঠিক তথ্য আপনাদের বন্ধু-বান্ধবের সাথে শেয়ার করতেই পারেন তাহলে তারাও উপকৃত হবে। আর আপনারা কি ধরনের আর্টিকেল পেতে চান কমেন্ট বক্সে, আপনার মূল্যবান মতামতটি জানাবেন আমরা চেষ্টা করব আপনাদেরকে সঠিক তথ্যটি দেওয়ার। আর পরিশেষে, জীবনকে সহজ করুন- রাত্রী গ্রুপের পাশে থাকুন। (আল্লাহ হাফেজ)।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

অর্ডিনারি আইটির নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url